রহস্যময় খুনের গল্প Mysterious murder story



গল্প -  রহস্যময় খুন

পৃথিবীতে রহস্যময় অনেক ঘটনা আছে যেটি সাধারনত শুধু রহস্যয় হয়ে  রয়ে যায়।আবার কিছু কিছু রহস্য মিথ্যার আড়ালে থাকা সত্বেও সত্যের আলোই সবার সামনে এসে দাড়ায়।মিথ্যা দিয়ে সত্যকে যতই ঢেকে রাখা হোক না কেন সত্য একদিন না একদিন বেরিয়ে আসে তার আপন ঠিকানায়।

গল্পটা পড়ুন আর ভাবুন আমাদের জিবনে আরও কত ঘটনা আছে যা শুধুই রহস্য 

সকাল থেকে মনমরা হয়ে আছে থানার ওসি রাকিব।ঘন কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন আর বারবার একটা প্রশ্নের উত্তর খোজাঁর চেষ্টা করছেন ওসি।আগের দিন সকালে নাটোরে একটি বাগানের ভিতর থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। বিশিষ্ট শিল্পপতি রেজাউল করিমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রাভি।উপরমহলের নির্দেশে থানার ওসি রাকিব ঘটনটার তদন্তের দায়িত্ব পায়।তাই গতকালই ঢাকা থেকে নাটোরে আসেন তিনি।

গতকাল মর্গে যেয়ে মেয়েটার লাশ দেখতে আসেন।সেই মেয়েটার গলায় বিভত্স ক্ষত এবং সারা শরীরের আচঁরের দাগ তা দেখেই তাকে রীতিমতো ভাবিয়ে তোলে।এমন ধরনের ঘটনা তার চাকরিজীবনে এই প্রথম দেখা। প্রথমে ভাবে লাশটি হিংস্র জন্তুর আক্রমনে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয় তার।

চা টা শেষ করে কনেস্টেবল আতি কে নিয়ে ঘটনাটার তদন্তের জন্য তিনি সুরভীর ভাইদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রওনা হন রেজাউল করিমের বাগানের বাংলে।দীর্ঘক্ষন থাকার পর তিনি আতি কে জিজ্ঞাসা করেন
-আতি
-জ্বী স্যার
-তোমার কি মনে হয় মেয়েটিকে কোন হিংস্র পশু আক্রমণ করেছে, নাকি এতে মানুষের হাত আছে ?
-মানে বুঝলাম না স্যার।
-মানে টা খুব সহজ একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে যদি কোন হিংস্র পশুর আক্রমনে মেয়েটির মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলেতো শরীর ছিড়ে খেয়ে ফেলার কথা তাই না ।
-তাই তো স্যার কথাটাতো খারাপ বলেন নি ।
-হুম।আচ্ছা রেজাউল সাহেবের বাংলো বাড়িটা আর কতোদূর ?
-স্যার ওই যে বাড়িটা দেখছেন ওটাই রেজাউল সাহেব এর বাংলো ।
-ওহ আচ্ছা চলো ভেতরে যাওয়া যাক ।
-জ্বী চলেন ।
এই বলে যখন ভেতরে ঢুকতে যাবে তখন একটা লোক তাদের সামনে এসে বললো ,
-কারে চাই ?
-এটা কি রেজাউল সাহেবের বাংলো বাড়ি ?
-হয় কিন্তু আপনারা কারা ?
-জ্বী আমি ওসি রাকিব আর ইনি হলো কনেস্টেবল আতি।আমরা সুরভীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করতে এসেছি।
-তবে আপনি কে ?
-আমার নাম হলো মজিদ।অনেক বছর ধরে আমি এই বাড়ির দেখাশুনো করি।আফামনি খুব ভালা মানুষ আছিলেন।আমি আগেই বলেছিলাম এইখানে থাকা ঠিক হবেনা কিন্তু কে কার কথা শোনে বল ।ওই ভুতডা শেষ পর্যন্ত আফারে মারে ফেললো।(এই বলে মজিদ কান্না শুরু করে দিল)
-ভুত
-হ্যা ভুত।এই বাড়িতে একটা মেয়ে ভুত আছে সাহেব।রাইত হলেই একটা মেয়ের কান্না হাসি শোনা যায় আর নূপুরের আওয়াজ ও শুনা যায়।কে আসলে তো এখানে দুই তিনদিনের বেশি থাকতে পারেনা।কয়দিন তো আগে দুই সাহেব আর আফামনি আইলো বেড়াতে।তারপর তাদেরকে বললাম ভুতডার কথা।কিন্তু কেউ ই বিশ্বেস করলনা আমার কথা।সবাইকে বলেছিলাম সাবধানে থাকতে। সেইদিনও আফারে সন্ধায় দেখলা হাসিখুশি আর আজই সে আমাদের কাছে মরা লাশ(এই বলে সে আবার কান্না শুরু করলো)

- আরে থামুন থামুন।এভাবে কান্না করবেন না।ভবিষ্যতে তদন্তের জন্য আপনাকে আমাদের প্রয়োজন হতে পারে।তাই যখনই ডাকবো তখনই কিন্তু আপনাকে থানায় যেতে হবে আর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করবেন না মনে থাকে যেন।
-আচ্ছা।(চোখ মুছতে মুছতে)
-হুম।আপনার সাহেবরা কি সবাই আছে?

-না সাহেব ছোটো সাহেব আফামনি হারিয়ে যাওয়ার আগের দিনে ঢাকা শহরে চলে গেছেন।আর বড় সাহেব এখোন আছেন ।
-আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আসতে পারেন।তবে যা বলেছি মনে থাকে যেন।
-আচ্ছা সাহেব ।
এই বলে তারা দুজন ওপরে চলে গেলেন। তখন উপরে উঠতে উঠতে আতিকে বললো ,
-স্যার আমরা হত্যার ধরণ দেখে মনে করছি খুনটা কোন জন্তু জানয়ারের কাজ।কিন্তু এখন বাড়ির কেয়ার টেকার মজিদ বলছে এই কাজ কোন ভুতের ?
এটি তার ভুল ধারনা আতি।কারণ ভুত প্রেত বলে কিছুই নেই। আর আমরা যদি ভুত প্রেতের কথা বলে চালিয়ে দেই তাহলে হাস্যকর মনে হবে সবার কাছে।তার থেকে আমাদের উচিত তদন্তের প্রতি বেশি করে মনোযোগ দেওয়া।এবং রহস্যের আড়ালে থাকা আসল ঘটনাকে বার করা।
-জ্বী স্যার।
উপরে উঠতেই দেখলেন রাফি সাহেব তার বোনের ছবির দিকে তাকিয়ে হুইল চেয়ার নিয়ে বেলকনিতে বসে আছেন।
-আস্সালামুয়ালাইকুম রাফি সাহেব
-ওয়ালাইকুমুস্সালাম আপনাদেরকে তো ঠিক চিনলাম না
-হ্যাঁ আসলে না চেনাটাই স্বাভাবিক।আমি ওসি রফিক এবং ইনি হলেন কনেস্টেবল আতি।
-জ্বী স্যার বসুন আপনারা।(চেয়ার এগিয়ে দিয়ে)
-ধন্যবাদ আসলে আমরা আপনার বোনের মৃত্যুর কারণটা তদন্ত করতে এসেছি।এবং আশা করি আপনি আমাদের কে তদন্তে সাহায্য করবেন।
কথাটি শুনে রাফি সাহেব কান্না করে করে বললেন
-আমার বোন কার কি ক্ষতি করেছিল যার জন্য আমার বোনকে এভাবে কষ্ট পেয়ে মরতে হলো।
-দেখুন আমরা বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা।কিন্তু কি করবেন বলেন যা হবার ছিল সেটা তো হয়ে গেছে।ভাগ্যের উপর কারও হাত নেই।তাছাড়া আমরা তো কেউই যানিনা জন্তু জানোয়ারের আক্রমনে মারা গেছে না কি অন্য কোন কারণ লুকিয়ে আছে আপনার বোনের মৃত্যুুর পেছনে।তাই বলছিলাম যদি আপনি আমাদের কিছু information দিয়ে সাহায্য করতেন তাহলে আমাদের তদন্তে খুব সুবিধা হতো।

-জ্বী আমি সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
ধন্যবাদ।তাহলে আপনাদের আসার দিন থেকে এই পর্যন্ত যা যা ঘটেছে বলুন।
-তাহলে শুনেন
সুরভীর পরীক্ষা শেষ হয় কিছুদিন আগে।পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর জেদ ধরে এই চা বাগানের বাংলোই ছুটি কাটানোর জন্য।আমাদের ও ব্যস্ততার কারণে তেমন কোথাও একটা যাওয়া হতো না।আমাদের ব্যস্ততা কম থাকায় আমরা দুই ভাই আর সুরভী তিন জনে মিলে এখানে বেড়াতে আসি।বাড়ির কেয়ার টেকার মজিদ চাচা আমাদের সব কিছুর খেয়াল রাখতো।গতকাল সকালে আমি যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন দেখি বাংলোর মেইন দরজা খোলা।পরে সুরভীর রুমে যেয়ে দেখি দরজা খোলা এবং ও সেও রুমে নেই।ভাবলাম ও হয়তো আশেপাশে কোথাও ঘুরতে গেছে।কিন্তু অনেক্ষন পরও যখন দেখলাম ওরা ফিরছেনা তখন আমি আর মজিদ খুজতে শুরু করলাম তাদেরকে।এক সময় খুজতে খুজতে সুরভীর ক্ষতবিক্ষত লাশ চা বাগানের ভেতরে পাই।(এই বলে আবার কান্না শুরু করলো।)
-থামুন রাফি সাহেব।এভাবে কান্না করবেন না।আচ্ছা আপনার ছোট ভাইকে দেখছিনা যে
-ও সুরভীর মৃত্যুর আগের দিন দূপুরে ঢাকা চলে যায় ওর ভার্সিটির কাজে।
-ওহ আচ্ছা।আপনারা এখানে কতোদিন হলো এসেছেন।
-এই পাঁচদিন হলো।
-ওহ তা কতদিন থাকার ইচ্ছা ছিল?
-তা প্রায় এক মাসের মতো।
-ওহ।আচ্ছা বাংলোর কেয়ারটেকার বলছিল যে বাংলোতে নাকি ভুত প্রেত এর আস্তা আছে।এখান থেকে নাকি রাতের বেলা নুপুর পরে হাটার শব্দ তারপর কোন মেয়ে হাসছে এমন কোন শব্দ পাওয়া যায় এটা কি সত্যি নাকি?
-হ্যাঁ আসার পরদিন থেকে প্রতিরাতেই এমন শব্দ আসে।
-আচ্ছা ঠিক আছে।আজ তো আপনাদের বোনের লাশ হস্তান্তর করা হবে।আপনাদের পরিবার থেকে কেউ আসবেনা?
-হ্যাঁ আমার ছোটভাই আর মেঝ চাচু এসে লাশ নিয়ে চলে যাবে।
-ওহ আচ্ছা তাহলে আজকের মতো বিদায় নিই।পরে কোন প্রয়োজনে আপনাকে আমাদের দরকার পড়তে পারে।
-অবশ্যইয় যেকোন প্রয়োজনে আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে পাবেন।
-ধন্যবাদ।আজ তাহলে আসি।
এই বলে রফিক আর আতি থানার দিকে আসতে লাগলো।মাঝপথেই আতি বলে উঠলো
-স্যার এই ঘটনাটা আমার কাছে অদ্ভুত মনে হচ্ছে।আমরা ধারনা করছি এটা কোন জন্তুর আক্রমন কিন্তু মজিদ আবার বলছে এটা কোন ভুতের কাজ।
-হুম।তবে আমাদের সব দিক থেকে তদন্ত করতে হবে।এটাও তো হতে পারে খুনটা কোন মানুষের কাজ।তবে যতক্ষন না পর্যন্ত পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট হাতে পাওয়া না যাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যাচ্ছেনা যে খুনটা কার দ্বারা হয়েছে।


-হ্যাঁ স্যার।আমিও আপনার সাথে একমত।
এর পর রফিক তদন্ত শুরু করলেন যতদিন না পর্যন্ত পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন।রিপোর্ট হাতে পাওয়ার দিন বিকালে রাফি সাহেবকে থানায় ডাকেন রফিক।
-আসতে পারি
-ওহ রাফি সাহেব আসুন আসুন।বসুন(চেয়ার দেখিয়ে দিয়ে)
-ধন্যবাদ।
-হুম।কি খাবেন গরম না ঠান্ডা?
-না কিছুই খাবনা।
-ওহ আচ্ছা।রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন নিশ্চই?
-জ্বী।পেয়েছি।
-আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল খুনটা কোন জন্তুজানোয়ার করেনি।খুনটা কোন মানুষ করেছে।তবে এইটা বলেন খুনটা আপনি করেন নিতো?
-কি বলতে চাইছেন আপনি
-বলতে চাইছিলাম এটাওতো হতে পারে সম্পত্তির লোভে সৎ বোনকে মেরে ফেললেন।
-দেখুন হ্যাঁ আমি মানছি সুরভী আমার সৎ বোন তবে আমাদের ভিতর আপন ভাইবোনের থেকেও খুব ভাল সম্পর্ক।আমাদের মধ্যে কোনদিন ঝগড়া পর্যন্ত হয় নি।
-হুম বুঝলাম।কিন্তু আপনি এখনও ঢাকায় ফিরে গেলেন না কেন ভাই দের সাথে?
-যতক্ষন না আমার বোনের হত্যাকারীকে ধরতে না পারব ততক্ষন পর্যন্ত আমি ঢাকায় ফিরবো না।
-আচ্ছা।বলছিলাম যে যতদিন আপনি এখানে আছেন ততদিনের জন্য আপনার নিরাপত্তার জন্য লোক পাঠাই।
-তার দরকার হবে না ওসি সাহেব।আমি নিজের নিরাপত্তা নিজেই দিতে পারবো।
-হুম বুঝলাম যখন আপনি লোক নিবেননা তখন না হয় এক কাজ করুন এই পিস্তলটা (একটা পিস্তল এগিয়ে দিয়ে)আপনার সাথে সব সময় রাখবেন।
-আপনি পিস্তল আ....মা..
-সমস্যা নেই।এটা আপনাকে দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে।তবে কাজ শেষ হয়ে গেলে আমাকে দিয়ে দিয়েন।
-আচ্ছা তবে কি আমি আজ আসতে পারি?
-হ্যাঁ অবশ্যই।তবে একটু সাবধানে থাকবেন।
-আচ্ছা ঠিক আছে
এই বলে রাফি সাহেব বাংলোয় ফিরে এলেন।বাসায় এসে পিস্তলটিকে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলেন।লোডেড পিস্তল।পিস্তলটার ভিতর তিনটা গুলি দেখে তার মনে থাকা ক্ষোব উতলে উঠলো।তিনি যদি তার বোনের হত্যাকারীকে পেতেন তাহলে এই গুলি গুলো দিয়ে তাকে এমন ভাবে মারতেন যেমন ভাবে তার বোনকে মারা হয়েছিল।

পিস্তলটা দেখার পর বালিশের নিচে রেখে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়লেন।নিন্দ্রা ভাব আসছিল এমন সময় তিনি জেগে যান।প্রতিরাতের সেই মেয়ের কান্না আর নুপুরের ঝিমঝিম শব্দে।বালিশের নিচ থেকে পিস্তলটা নিয়ে শব্দের দিকে ছুটতে থাকেন।চিৎকার দিয়ে বলেন কে তুমি।কি চাও।নিচে আসার সাথে সাথে তিনি গুলির শব্দ পান এবং তিনটি গুলি শব্দের দিকে মারেন এবং কারো ধাক্কায় পড়ে যান।সাথে সাথে পেছন থেকে রিভলবারের শব্দ পেয়ে পিছন ফিরে তাকান।এবং দেখতে পান পেছনে ওসি রফিক এবং কয়েকজন কনেস্টেবল শব্দের দিকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ছেন।একটু পর তিনি রাফি সাহেব কে বলেন
-আপনি ঠিক আছেন তো?
-হ্যাঁ আমি ঠিক আছি তবে আপনারা এখানে?
আমরা আপনার বোনের হত্যাকারীকে খুজতে এসেছিলাম এবং আশাকরি পেয়েও গেছি।
-কিভাবে?
-আপনি এখানে বসুন আমি আসছি
এই বলে ওসি কয়েকজন কনেস্টেবল কে নিয়ে চলে যান কেয়ার টেকার মজিদের বাড়ি।কিন্তু যেয়ে দেখতে পেলেন মজিদ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন।কম্বল উচু করে দেখেন তিনি প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছেন।তাই দেখে চলে আসবেন এমন সময় কি মনে হতেই পা থেকে কম্বল উচুঁ করতেই দেখতে পেলেন পায়ে গুলি লেগে আছে এবং ক্ষত থেকে রক্ত পরছে।
-কি মজিদ ।এতকিছুর মুল কারন তাহলে আপনি?
-না মানে আসলে..
-আর মানে মানে করে লাভ নেই।আপনার সব কু-কীর্তি আমাদের কাছে পরিষ্কার।তো বলুন সুরভী কে খুন করেছেন কেন আর কেনইবা তাদেরকে ভুতের ভয় দেখিয়েছিলেন?
তার পর মাজিদ ওসি সাহেবদেরকে একে একে বলতে থাকলো

-অনেকদিন ধরে স্যার রা আসে না তাই আমি ভাবেছিলাম একজনকে সাহেবের বাড়িটা বিক্রি করে এখান থেকে চলে যাবার কথা ভাবছিলাম।কিন্তু সাহেবরা আসাই তা সব কিছু নষ্ট হয়ে গেল ।তাই ভুতের ভয় দেখানোর জন্য সাউন্ড বক্সে মেয়েদের কান্নার আর হাঁসার শব্দ রেকর্ড করে বাজাতাম।কিন্তু সুরভি আফা সকালে আমার সব কথা শুনে ফেলেছিল। তাই আর যখন সায়েবের কাছে এই কথা  বলে দিতে পারে তাই আমি ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেই আর হাত পা এমন ভাবে দাগ দিয়ে রাকি যেকেউ দেখলে যেন মনে হয় যেন কোন জন্তু জানোয়ারের কাজ এইটা। 

-আর যখন দেখলেন রাফি সাহেব এখান থেকে যাচ্ছেনা ঠিক তখনই তাকেও মারার প্লান করলেন তাইতো?
-হ্যা।সাহেব আর জীবনেও এমন কাজ করবোনা সাহেব এবারের মতো মাফ করে দেন
-তোমাকে ক্ষমা কেউ করবেনা। হাকিম নিয়ে যাও একে।
পরদিন সকালে থানায় ডেকে ওসি রফিক সাহেব সব কথা খুলে বললেন রাফি সাহেবকে।রাফি সাহেব সব কথা শুনার পর বললেন

-আজ তাহলে আমি নিশ্চিন্ত।আমার বোনের খুনিকে ধরতে পরেছেন আপনারা।আপনাদেরকে কিভাবে ধন্যবাদ দেব তা আমার জানা নেই
-ছিঃ ছিঃ রাফি সাহেব এটা আমাদের পুলিশদের দ্বায়িত্ব।এতে আমরা খুশি হয়েছি যে আপনার বোনের হত্যাকারীকে আমরা ধরতে পেরেছি।
-আজ আমি ঢাকায় চলে যাব একটু পর।দোয়া করবেন আমার জন্য।
-জ্বী অবশ্যই।আমার জন্য ও দোয়া করবেন।
-জ্বী আজ তাহলে আসি
-আসুন
এরপর রাফি সাহেব ফিরে গেল ঢাকায় তার শহুরে জীবনে।আর ওসি রফিক ও চলে গেলেন হয়তোবা নতুন কোন অদ্ভুত ঘটনার তদন্তে।
 

বিদ্রঃ-  আমাদের লেখা গল্প সায়েরি ভালো লাগলে দয়াকরে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন এবং অন্যদের পড়ার সাহায্য করবেন ধন্যবাদ।।